ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৮ বছরেও বাড়েনি বেনাপোল রেলওয়ের অপারেশনাল সুবিধা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
৮ বছরেও বাড়েনি বেনাপোল রেলওয়ের অপারেশনাল সুবিধা

বার বার সময় ও ব্যয় বাড়ানো হলেও আলোর মুখ দেখেনি ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ও ইয়র্ড রিমডেলিং এবং বেনাপোল রেলওয়ের অপারেশনাল সুবিধাদির উন্নয়ন’ প্রকল্পটি। ফলে দু’দেশের বাণিজ্যিক ও যোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা: বার বার সময় ও ব্যয় বাড়ানো হলেও আলোর মুখ দেখেনি ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ও ইয়র্ড রিমডেলিং এবং বেনাপোল রেলওয়ের অপারেশনাল সুবিধাদির উন্নয়ন’ প্রকল্পটি। ফলে দু’দেশের বাণিজ্যিক ও যোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বেনাপোল হয়ে ঢাকা ও কলকাতা রুটে চলাচল করছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তখন যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব বাড়বে বেনাপোলের।

বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেকে) সভায় অনুমোদন পেয়েছিল প্রকল্পটি। এরপর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
 
কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল ২০০৯ সালে।

 

কিন্তু তিন ধাপে প্রকল্পটির মেয়াদ ও ব্যয় বেড়েছে। এরপরও শেষ পর্যায়ে এসে আবারও ছয়মাস সময় চেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্ধিত ছয়মাসের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্টদের সুবিধা দেওয়া যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রথম ধাপে ব্যয় বাড়ানো ছাড়াই প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০১১ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
 
দ্বিতীয় ধাপে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ও তৃতীয় ধাপে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না বলে চতুর্থবারের মতো ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

 
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) ১৪টি গুডস প্যাকেজ, ২০টি ওয়ার্ক প্যাকেজ এবং একটি সেবা প্যাকেজ রয়েছে। চলতি সময় পর্যন্ত মাত্র ১০টি গুডস প্যাকেজ ও ১৩টি ওয়ার্ক প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পের অন্য অগ্রগতিও সন্তোষজনক নয়।

চুক্তিপত্রের মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানির কাছে আবেদনও করা হয়েছে। অথচ এখনও কাগজপত্রে বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
 
সূত্র জানায়, মূল প্যাকেজসহ কয়েকটি প্যাকেজে সংশোধিত ডিপিপি’র তুলনায় চুক্তিমূল্য বেশি। এ কারণে প্রকল্পটি ফের সংশোধনের জন্য ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে রেলওয়ে। যার বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে, এমন কথা চিন্তা করেই এডিপি বইয়ের তালিকা অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আরও ছয়মাস বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
৮ বছর ধরে বেনাপোল রেলওয়ের অপারেশনাল সুবিধা সৃষ্টি না হওয়া প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শশী কুমার সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পের কিছু কাজের সংশোধন করা হয়েছে। ফলে সময় ও ব্যয় বাড়বে। আমাদের বরাদ্দও সীমিত ছিলো। তবে এখন রেলে বরাদ্দ মোটামোটি পর্যায়ে। আশা করা যাচ্ছে, বর্ধিত সময়ে আমরা বেনাপোল রেলওয়ের অপারেশনাল সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারবো। আমরা পরিকল্পনা কমিশনে সে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বেনাপোলে আমাদের উন্নয়ন করতেই হবে। কারণ দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস চাল‍ুর পরিকল্পনা আছে। ফলে বেনাপোলে রেলওয়ের অপারেশনাল সুবিধা দ্রুততম সময়ে শুরু করতে হবে’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।