ঢাকা: দেশের বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকরা বিদেশি সিরিয়াল প্রচার বন্ধে অন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও) আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এফটিপিও’র পক্ষ থেকে এ দাবি জানান তিনি।
মামুনুর রশিদ বলেন, বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকরা বিদেশি সিরিয়াল ও বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধসহ আরো বেশ কয়েকটি দাবি রয়েছে।
এ দাবিগুলো পূরণের জন্য আমরা এর আগে শহীদ মিনারে একটি কর্মসূচি পালন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা অন্দোলনে যাবো।
তিনি বলেন, ‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাও’ এ স্লোগান শুধু নাট্যকর্মীদের নয়, এটা আমাদের সবার প্রাণের দাবি। ১৯ ডিসেম্বর দীপ্ত টিভি, ২০ ডিসেম্বর একুশে টিভি, ২৮ ডিসেম্বর এসএ টিভি, ২৯ ডিসেম্বর মাছরাঙা টিভি চ্যানেলের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, টেলিভিশন শিল্প নানা প্রতিকূলতা, অনিশ্চিয়তা, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনসহ বিভিন্ন কারণে হুমকির সমুখীন। আমারা দেশের সংস্কৃতি রক্ষা করতে চাই।
তিনি বলেন, সিরিয়াল প্রচারের কারণে অনেক পরিবার বিপদগামী হয়েছে। শুধুমাত্র সিরিয়াল প্রচারের কারণে ৮০ শতাংশ মানুষের সংসার ভাঙেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।
পুরনো পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিলো, ডাবকরা বিদেশি সিরিয়াল বন্ধ, এজেন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতীত অনুষ্ঠান প্রচার, টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এ আই,টি’র ন্যূনতম যৌক্তিক হার পূণনির্ধারণ, শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ বন্ধ করা, অনুষ্ঠানের ক্যামেরা লাইট বিদেশ থেকে আনার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা ও বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন বন্ধ করা।
এছাড়া আরো সাত দফা দাবি তুলে ধরেন এফটিপিও’র আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন প্রচারে গ্রহণযোগ্য সময়সীমা নির্ধারণ, নাটকের বাজেট যৌক্তিক হারে বৃদ্ধি, কপিরাইট প্রথা বহাল, যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রিভিউ কমিটি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্ভুল, যথাযথ টি আর পি ব্যবস্থা চালু, ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল চালু ও তাদের ডাউন লিংক ফি’র সঙ্গে বাংলাদেশের ডাউন লিংক ফি’র অসামঞ্জস্যতা অপসারণ এবং এফটিপিও-কে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
আরএটি/এএটি/এসএইচ