ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে শেষ হলো দু’দিনব্যাপী লালন উৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
মুন্সীগঞ্জে শেষ হলো দু’দিনব্যাপী লালন উৎসব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতী নদীর তীরে দোসরপাড়ার সাঁই বটতলায় দু’দিনব্যাপী লালন উৎসব শেষ হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতী নদীর তীরে দোসরপাড়ার সাঁই বটতলায় দু’দিনব্যাপী লালন উৎসব শেষ হয়েছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে শেষ হয় এর আনুষ্ঠানিকতা।

দু’দিনের এ উৎসবের আয়োজন করেছে পদ্মহেম ধাম।

উৎসবকে ঘিরে দোসরপাড়ার বটতলা সাধুগুরু, বাউলশিল্পী ও ভক্ত অনুসারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সাঁই বটতলায় ১২তম বাৎসরিক সাধুসঙ্গের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানবীর মোহাম্মদ আজিম ও যুগ্ম সম্পাদক বাউল তকবির হোসেন প্রমুখ।

গত দু’দিন ধরে সারারাত লালনের গান পরিবেশন করে হাজারো শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন শতাধিক বাউল। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের রাতেও শ্রোতা ও বাউল সঙ্গীত অনুরাগীদের উপস্থিতি কমেনি। সন্ধ্যা থেকে সারারাত কনকনে শীত উপেক্ষা করেও সমাগম ঘটেছে শ্রোতাদের।  
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আসা শ্রোতা পারভেজ হোসনে বাংলানিউজকে বলেন, আমি লালন সঙ্গীত পছন্দ করি। এই উৎসবে প্রথম এসেছি। আমাদের এখান থেকে অনেকেই এই উৎসবে প্রতিবছর আসেন।

পদ্মহেম ধাম লালন সাঁই বটতলার সভাপতি কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, লালন উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন-কুষ্টিয়াসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক সাধুগুরু, বাউলশিল্পী।

এবারের সাধুসঙ্গে দু’দিনে কমপক্ষে ৩০ হাজার ভক্ত ও লালনপ্রেমীর সমাগম ঘটেছে। বাংলার সংস্কৃতির একটি ধারাকে লালন করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
আরবি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।