ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে বিমানের ‘রাঙা প্রভাত’ এর জরুরি অবতরণজনিত ত্রুটিকে ‘মানবসৃষ্ট' বলে অভিহিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়েরেরও সুপারিশ করেছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ৩টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেমন।
মন্ত্রী বলেন, এর আগেই বিমানের করা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের রিপোর্ট দেবে। তবে তিনটি রিপোর্টই একটি বিষয় নির্দেশ করছে। আর তা হলো, বিমানের নাট-বল্টু ঢিলা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মানষের দ্বারাই হয়েছে।
তবে এটি ইচ্ছাকৃত, না এমনিতেই হয়েছে, নাকি নাশকতার অংশ- তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই বের করবে বলেও জানান রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি মোট ৪৮ পাতার রিপোর্ট দিয়েছে। এছাড়া সংযুক্তি, অভিমত, সুপারিশসহ এ প্রতিবেদনের পাতার সংখ্যা দুই শতাধিক। এতে বিমান, বেবিচক ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সুপারিশ রয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত আমরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো’।
‘এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি অবহিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে। তাই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা সুনির্দিষ্ট মামলা করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো’।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা দোষীদের নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। তবে এরই মধ্যে যে নয়জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারা ছাড়াও এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে’।
মেনন বলেন, ‘আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছি। এটি স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রীর বিমান প্রস্তুত, ব্যবস্থাপনা ও সুপারভাইজিংয়ের দায়িত্ব যাদের ওপর ছিল, তারা সবাই দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। ফুটেজে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটির চারদিকে প্রচুর লোক সমাগম ছিল। যা হওয়ার কথা নয়’।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত রিপোর্টে বিমানকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে। এজন্য কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
আরএম/বিএস/এএসআর