ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষি খাতের উন্নয়ন ও উৎপাদন বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
‘চেঞ্জিং সিনারিও অব বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্স ইনসটিটিউট।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকার কৃষি খাতের উন্নয়ন ও উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। সেই সঙ্গে শুধু এক বা দুই ধরনের খাদ্যশস্য উদৎপাদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে উৎপাদনে বহুমুখিতা আনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে যদি আমরা না এগোতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশে উন্নতি করা সম্ভব হতো না। বাংলাদেশ সার্বিকভাবে এগুচ্ছে। কৃষি খাতও এগুচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োগে করি। প্রয়োগে সফল হয়েছি বিধায় দেশের মানুষ আজ দেশের মানুষ খেয়ে পড়ে ভালো আজে। দেশে ১৬ কোটি মানুষ তিন বেলা ভালভাবে খেতে পাচ্ছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রেখে কৃষি উৎপাদনে ও কৃষিখাতের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিচ্ছি। পানি যেমন স্বল্পতা থাকবে, তেমনি আবার বন্যা হবে সেটাও মাথায় রেখেই এগিয়ে যাচ্ছি।
খাদ্যশস্য উৎপাদনে বহুমুখিতা প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে কৃষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় না। আমরা দিক নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের নানা ধরনের খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাধ্য করছি। এ সময় তিনি আলু উৎপাদনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এখন আমরা প্রচুর আলু উৎপাদন করছি। বিশ্বে আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে রয়েছে। আলু রফতানি হচ্ছে। আলু উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানোর জন্য আমরা রফতানিতে প্রণোদনা দিচ্ছি।
কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয় সচিব মইনুদ্দিন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম সওকত আলী। এতে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনোয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা চালের বাইরে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য উৎপাদনের উপর গুরুত্ব দেন ও ওইসব খাদ্য শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর কথাও বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
এসকে/এএটি/বিএস