কেরানীগঞ্জ, ঢাকা: কেরানীগঞ্জে সাবিনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী খোরশেদকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নের সাগুরাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের বড়ভাই মো. স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ১২/১৩ বছর আগে খোরশেদের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে মোস্তফা (০৮),আরিয়ান (০৬) ও জান্নাতুল (০৪) নামের তিনটি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই খোরশেদ যৌতুকের জন্য আমার বোনকে চাপ দিতে থাকে। মাঝে মধ্যে মারধর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো। এজন্য মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে কিছু টাকা পাঠিয়েদিতাম। কিছুদিন আগেও খোরশেদ মারধর করে আমার বোনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
পরে আমরা তাকে একটি অটোরিকশা কিনে দেই। সকালে সাগুরাকান্দি গ্রাম থেকে খবর পাই আমার বোন মারা গেছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি মেঝেতে বোনের মরদেহ পড়ে রয়েছে। এ সময় আমার ভাগ্নে মোস্তাফাকে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তার বাবা ও দাদী (বাবার চাচি) সাবিনাকে গলাটিপে মেরেছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খোরশেদকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, নিহতের গলায় এবং কোমরের সামনে লালচে দাগ রয়েছে। তবে দাগগুলো কিসের তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী খোরশেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের বড়ভাই স্বপন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
আরএ