ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়েই জীবনে পরিপূর্ণতা আসে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়েই জীবনে পরিপূর্ণতা আসে

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিক্ষা আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়েই জীবনে পরিপূর্ণতা আসে। উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য কেবল ডিগ্রি অর্জন, চাকরি বা কর্মজীবনে ভালো উপার্জন নয়। প্রকৃত অর্থে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ হওয়া।

গাজীপুর: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিক্ষা আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়েই জীবনে পরিপূর্ণতা আসে। উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য কেবল ডিগ্রি অর্জন, চাকরি বা কর্মজীবনে ভালো উপার্জন নয়।

প্রকৃত অর্থে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ হওয়া। যেখানে জ্ঞানের প্রবাহমান ধারার সঙ্গে নৈতিকতা, আদর্শ ও দেশপ্রেমের মতো গুণাবলির প্রতিফলন ঘটবে।

 

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর)  দুপুরে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণ ব্যবস্থা নবদিগন্তের উম্মোচন করেছে। উন্মুক্ত শিক্ষা বিশ্বজুড়ে সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছে। শিক্ষার শুরু আছে, শেষ নেই। জীবনভর তা অর্জন করা যায়। বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। অন্ধকার আর কূপমণ্ডুকতার বেড়াজাল ভেঙ্গে অনির্বাণ আলো আর জ্ঞান-বিজ্ঞান ভাস্বর হয়ে উঠবে জীবনের সর্বক্ষেত্র।

মো. আবদুল হামিদ আরো বলেন, আমাদের এ ভূ-ভাগ হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত সমৃদ্ধ জনপদ। এ জনপদ সমৃদ্ধ হয়েছে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের বর্ণাঢ্য সংস্কৃতিতে। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান তাই আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের অংশ। শিক্ষার্থীরা যেন এ দেশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে পারেন, মনের বাতায়ন উন্মুক্ত রেখে বৃহত্তর মানবতার কল্যাণ করতে পারেন- সে শিক্ষা দিতে হবে। পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে সীমিত না থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গড়ে তুলতে হবে প্রকৃত জ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র হিসেবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে নিজ নিজ অঙ্গনকে জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার পরিপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিণত করবে।

তিনি বলেন, ‘যারা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ গ্রহণ করছেন, তারা অধিকাংশই কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এ অর্জন তাদের দক্ষতা ও মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করবে। গ্রাজুয়েটরা সততা, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক উদার দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সকলের কাছে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবেন’।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম দেশ গড়ার সংগ্রাম এবং শিক্ষিত জনশক্তি দেশের সম্পদ। শিক্ষাই এ সংগ্রামের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। নতুন প্রজন্মকে শিক্ষার মাধ্যমে ক্ষুধা, নিরক্ষরমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তা হলে বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়িত হবে’।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
আরএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।