শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই ডোমেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এর মাধ্যমে ডট বাংলা ডোমেইনটির সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো।
ডট বাংলা ডোমেইন বাংলা ভাষার আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত সরকারের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিয়েরা লিওনও ডট বাংলার জন্য আবেদন করেছিল।
‘ডট বাংলা’ (.বাংলা) চালুর ফলে বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বাংলায় ইন্টারনেটে প্রবেশ ও ব্যবহার করতে পারবেন। এটি চালুর ফলে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার চাহিদা ও ব্যবহার বৃদ্ধিসহ বাংলা কনটেন্ট তৈরি উৎসাহিত হবে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
আগে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় ওয়েব সাইটের এড্রেস দেওয়া যেতো না। এখন থেকে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় ওয়েব সাইটের ঠিকানা দেওয়া যাবে এবং শুধুমাত্র বাংলা ওয়েব এড্রেসের মাধ্যমে ওয়েবসাইট পরিচালনা করা যাবে।
ডট বাংলা ডোমেইনটির মূল্য নির্ধারণ হবে বোর্ড সভায়। তবে প্রাথমিকভাবে ডট বাংলা ডোমেইন সাবস্কাইপশন চার্জ এক বছরের জন্য এর মূল্য ধরা হয়েছে ৫শ’ টাকা এবং বিশেষ শব্দের ডোমেইন নাম ১০ হাজার টাকা।
ডট বাংলা ডোমেইনের প্রশাসনিক ও কারিগরি সংযোগ স্থাপনের দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
ডোমেইনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডট বাংলা কেবল একটি ডোমেইন’র নাম নয়, এটি আজ বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের একটি প্রতীক। ডট বাংলা’র বিজয় ভাষা শহীদদের বিজয়। এ বিজয় মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের বিজয়। ’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণার সমালোচনা করেছিলেন, তারাও ডট বাংলা ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুত অগ্রসরমান। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার ভাষায়, ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’। ’
এটি ডট বাংলা চালুর ফলে ই-কমার্স, ই-কৃষি, ই-শিক্ষা, ই-স্বাস্থ্য ইত্যাদি সেবাসমূহ আরও প্রসার লাভ করবে। এর যথাযথ ব্যবহার স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
ডট বাংলা চালুর ফলে আইসিটি খাতে অগ্রগতির উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ডট বাংলা ডোমেইন উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেড় ঘণ্টার স্থলে ৬ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেরিন একাডেমির ৫১তম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
দিনের শুরুতে গণভবনে শিশুদের হাতে বই তুলে দিয়ে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিটিআরসির প্রধান শাহজাহান মাহমুদ, টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী এবং বিটিসিএলের এমডি মাহফুজ উদ্দিন আহমদসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
***পড়াশোনার ‘মানের মাত্রা’র ব্যাখ্যা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
***শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
***শিক্ষার মান নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তারা আগে ভলান্টিয়ার হোন
***পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬/আপডেট ১৭১৬
এমইউএম/আইএ