শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির কনফারেন্স রুমে ‘এসো সমাজ গড়ি’ আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যাশা-প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বাঙালি জাতির ম্যাগনাকার্টা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ড. শাহেদা বলেন, জাতির জনকের ওই ভাষণের কথাগুলো ছিলো চিরজীবী।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও ‘কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে মুক্তিযোদ্ধা নয়’ সেটা নিয়ে কেন তর্ক-বিতর্ক? এখন মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্তরের সার্টিফিকেট দেখা যায়। একাত্তরে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রণাঙ্গণে সম্মুখযুদ্ধ করেছেন। আবার অনেকে আছেন যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ না করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। তাই এখন প্রথম করণীয় কারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, তা বের করা।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে এখন বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের নাম করে চাঁদাবাজিও হচ্ছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ কোনো বাণিজ্যের বিষয় নয়, এটি আমাদের অস্তিত্ব। তাই আমাদের এটাও নির্ধারণ করতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কারা?
ড. শাহেদা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা হওয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করেছেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা, তিনি আমাদেরকে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দিয়ে যাবেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভবিষ্যতে যাতে কেউ বিকৃত করতে না পারে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে, সেজন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর রশিদ বীরপ্রতীক বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। বাংলাদেশ এখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছে। ক্রিকেট বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে এখন ‘একটি মডেল’ ধরা হচ্ছে। রাজনীতিতে মতভেদ থাকতে পারে। তবে, দেশ ও জাতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এস এম শওকত ওসমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাদেক সিদ্দিকী, নাট্য ব্যক্তিত্ব আমানুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়:১৯৪৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৩১,২০১৬
এমসি/এজেড/পিসি