বেশি দাম পেতে গ্রামাঞ্চল থেকে কৃষকেরা সবজি নিয়ে আসছেন শহরের বাজারে।
সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার থেকে তরতাজা সবজি নিয়ে নগরীর রিকাবিবাজারে এসেছেন লিটন মিয়া।
লামাকাজি থেকে নিজের ক্ষেতের সবজি বিক্রি করতে আসা জনাব আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিবছর ক্ষেত করি। গতবছরের তুলনায় এবার সবজির ফলন ভালো হওয়ায় দাম অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।
এবার লাল শাক, মুলা, ফুলকপি ও টমেটো ক্ষেত করেছেন জনাব আলী।
সরেজমিন নগরীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার ধারে সাজিয়ে রাখা হয়েছে শীতকালীন সবজি। প্রকারভেদে এসব সবজির দামেও রয়েছে তফাৎ। বেগুন প্রতিকেজি ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৩০/৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০/৫০ টাকা, লাউফুল, লালশাক, সরষে শাক ও লাউপাতা আঁটি ৫/১০ টাকা। এছাড়াও ধনেপাতাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি উঠছে বাজারে।
এবার সিলেট বিভাগে ৪৭ হাজার ৫৯৬ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে বলে জানায় সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরমধ্যে সিলেটে ২১ হাজার ৫০ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ৪৪২ হেক্টর, হবিগঞ্জে ৭ হাজার ২৫৫ হেক্টর এবং সুনামগঞ্জে ১০ হাজার ৮৪৯ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ চন্দ্র হুড় বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে ভুট্টা, বাদাম, চীনাবাদাম, মুগডালে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। মুগডালে ১ হাজার ২শ’ কৃষককে ১২শ’ বিঘা জমিতে ৫ কেজি করে বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। চীনাবাদাম চাষিদের ১শ’ জনকে ১শ’ বিঘা জমির বিপরীতে ১০ কেজি করে, সরিষা ১ হাজার ৮শ’ জনকে ১ কেজি করে, ভুট্টা ৩শ’ জনকে সব পরিমাণ বিঘা জমির জন্য ২ কেজি করে এবং শাক-সবজির বীজ চার হাজার জনকে ৫ হাজার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রণোদনা ছাড়াও রোগ-বালাই থেকে শাক-সবজি রক্ষায় কৃষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সুবিধা নিয়ে সমন্বয় করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এনইউ/এএ