বুধবার (৪ জানুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে তিনি কৃষি সম্প্রসারণে উদ্ভাবিত মোবাইল অ্যাপভিত্তিক তিনটি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, আগে পেট বাঁচাতে হবে। পেট বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। তাই মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দরকার। পৃথিবীতে ভিক্ষুকের জাতি কোনো ইজ্জত পায় না। আর দেশে মানুষের পেটে খাবার না থাকলে সরকার কেতাদুরস্ত হয়ে লাভ নেই।
তিনি বলেন, টাকা হাতে নিয়ে বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েও একবার খাদ্য পাওয়া যায়নি। আমরা ঠেকে শিখেছি। কৃষিতে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে না পারলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। তাই কৃষিতে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে বর্তমান সরকার।
কৃষিমন্ত্রী মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক যে তিনটি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এগুলো উদ্ভাবন করেছেন তিনজন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
'বালাই নাশক নির্দেশনা' সুকল্প দাস, 'কৃষকের জানালা' আব্দুল মালেক ও 'কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা' নামে সেবাটি শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী উদ্ভাবন করেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই সেবাগুলোকে কৃষকের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এমনিতেই আমাদের কৃষক নিজেরাই উদ্ভাবন করেন। কেননা, জমি কম হওয়ায় তাদের পর্যবেক্ষণ বেশি।
তিনি বলেন, ৯৬ সালে যে পরিমাণ জমি ছিল, বর্তমানে তার থেকে জমির পরিমাণ অনেক কমে গেছে। তারপরও আমাদের খাদ্যে ঘাটতি নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশে কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমেই সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এমন একটা সময় ছিল ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের পথে ২৮টি ভাঙ্গা ব্রিজ ছিল। আমরা সকালে রওনা হয়ে রাতে টাঙ্গাইল পৌঁছাতাম। এই ছিল অবস্থা। কিন্তু বর্তমানে শুনলে বলে, এসব বানিয়ে বলি। এটাই সত্যি। এই অবস্থার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন। বর্তমানে তারই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভাটি আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দিন মিলকী মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক সেবা উদ্বোধন উপলক্ষে যৌথভাবে আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক শেখ ইউসুফ হারুন, এটুআই প্রোগ্রামের আনিস চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
ইইউডি/পিসি