বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে খ্যাতিমান কথাশিল্পী শওকত ওসমানের জন্মশত বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ দেশ থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছিলেন শওকত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শওকত ওসমান আমার বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তার কাছ থেকে আমার বিভিন্ন বিষয়ে নোট আদান-প্রাদান আরও বেশি বেড়ে যায়। তিনি যাকে ভালোবাসতেন, তাকে কখনও ভুল বুঝতেন না। এটাই ছিলো তার মূল আদর্শ। তাই কথা বলাই যায়, একজন সত্যিকার অর্থে সাহিত্যিক ছিলেন শওকত ওসমান।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শওকত ওসমানের কাজের ক্ষেত্র ছিল কথাসাহিত্য কিন্তু তার সার্বক্ষণিক ধ্যানজ্ঞান ছিল রাজনীতি, সমাজনীতি ও মানুষের মঙ্গলবোধ নিয়ে। প্রবলভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদী এ মানুষটি একই সঙ্গে ছিলেন আন্তর্জাতিকতাবাদীও। তার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল বাংলার শোষিত মানুষের মুক্তি।
সংস্কৃতি সচিব বেগম আক্তারী মমতাজ বলেন, শওকত ওসমান দেশ বিভাগের পর ঢাকায় এসে অসাম্প্রদায়িক, উদার, মানবিক ও সাহিত্য-সংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় যুক্ত হন। ষাটের দশকে সামরিক তন্ত্রের বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণবোধকে তার সাহিত্যের উপাদান হিসেবে কাজে লাগিয়ে বস্তুত মানব মঙ্গলের সাধনা করেছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক শান্তনু কায়সার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, গোলাম কুদ্দুছ, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এসজে/টিআই