বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা। ডিএনসিসি’র একটি বুলডোজার দিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটের ধসে পড়া অংশ ভাঙা হচ্ছে।
ডিএসসিসি’র এই মার্কেটে ১৫ বছরের ব্যবসা তার। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর থেকে জমি বিক্রি করে দোকান দিয়েছিলেন তিনি। খোরশেদ বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচজনের পরিবারের তিনি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই দোকানই ছিল তার শেষ সম্বল। দোকান পুড়ে তার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, পরিবার নিয়ে তিনি রাস্তায় বসতে চান না। তিনি মাটিও কাটতে পারবেন না আবার ভিক্ষাও করতে পারবেন না। তিনি তার দোকান ফেরত চান। সরকার যদি বিনা সুদে ঋণ দেয়, তবে তিনি আবারো তার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এই দাবি শুধু খোরশেদের না। ব্যবসায়ী রাশেদ কবীর, ওহিদুল ইসলাম ও খালেকুজ্জামানেরও একই দাবি। আবারো নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চান তারা। ব্যবসার জন্য সরকারের কাছে সুদ মুক্ত ঋণ চান।
গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেট গিয়ে দেখা যায়, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধসে পড়া মার্কেটের পূর্ব-দক্ষিণ পাশ থেকে ভাঙা হচ্ছে। আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেলেও ধসে পড়া ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। যে অংশটুকু ধসে পড়েছে তা মূল ডিএনসিসি মার্কেট থেকে আলাদা একটি বিল্ডিং। এই বিল্ডিংয়ের নিচতলায় কাঁচাবাজার আর দ্বিতীয় তলায় ছিল কসমেটিকস, মুদি ও মনোহারি দোকান।
আগুনের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কমান্ডার এ কে এম সাকিল নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার(০৪ জানুয়ারি) আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। ভয়ের কোনো কারণ নেই। সব শঙ্কা কেটে গেছে।
তিনি জানান, বুলডোজার দিয়ে ধসে পড়া ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এই মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এখনো ধোয়া বের হচ্ছে।
সোমবার (০২ জানুয়ারি) গভীর রাতে ডিএনসিসি’র ওই মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরএটি/পিসি