কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদী পাড়ের চর বিদ্যানন্দ গ্রামের তাজুল আলমের ছেলে সাদ্দাম। ছয় ভাই এক বোনের মধ্যে সাদ্দাম চতুর্থ।
সাদ্দামের বাবা তাজুল আলম বলেন, পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাই সন্তানের জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা আমরা জানতাম না। আগে মাঝে মধ্যে বাড়ি এলেও বিগত দুই বছরের মধ্যে একবারও তার সঙ্গে দেখা হয়নি। ছেলের জঙ্গি সম্পৃক্ততায় তারা লজ্জা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।
বাবা-মা ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন সাদ্দাম গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
তিনি কুড়িগ্রামের ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই নম্বর আসামি। তিনি লালমনিরহাট সরকারি অনার্স কলেজে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বাংলানিউজকে জানান, সাদ্দাম উত্তরাঞ্চলের সব জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
তিনি ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় জাপানি নাগরিক হোসিও কোনি এবং ২০১৬ সালের ২২ মার্চে কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসআই