রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নিহতরা হলেন- গোয়ালবাথান এলাকার মো. রিপনের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩০) ও তাদের মেয়ে রিভা আক্তার (৮), রিপনের চাচাতো ভাই মো. বিদ্যুতের স্ত্রী তাহমিদা খাতুন (৩১) ও তাদের ছেলে তালহা (১২) এবং ওই এলাকার প্রাইভেটকার চালক মিনহাজ (৪৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে রিপনের প্রাইভেটকারে তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় খ্রিস্টান মিশন স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়।
এক পর্যায়ে প্রাইভেটকারটি ট্রেনের সঙ্গে আটকে গিয়ে প্রায় এক মাইল দূরে সোনাখালি ব্রিজে গিয়ে ছিটকে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এতে প্রাইভেটকার চালক মিনহাজসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে এলাকাবাসী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় মৈত্রী এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ওই রেললাইনে সব ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার অর্পূব বল বাংলানিউজকে বলেন, নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাইভেটকারটি একেবারে ছিন্নাভিন্ন হয়ে গেছে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনের বগিটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭/আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা
আরএস/জিপি/এএ