শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা শুধু নতুন বছরের প্রথম দিন নয়, পাঠ্যপুস্তক উৎসবের দিন। এ বই নববর্ষের উপহার।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এদিন প্রায় ৩৫ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেটাও আবার বিনামূল্যে। তাছাড়া একই দিনে বিশ্বের কোথাও এতো শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়ার রেকর্ড নেই।
আজিমপুর গালর্স স্কুল মাঠে দেখা যায়, নতুন বই নিয়ে এরই মধ্যে পড়তে বসে গেছে অনেকে। তাদেরই একজন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নেহা জানায়, কোনো উৎসবে উপহার হিসেবে বই পাওয়া এটাই তার প্রথম। এ কারণে খুব খুশি লাগছে। বড় হয়ে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তার।
একই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী প্রকৃতি বলে, আগের বছরগুলোতে এমন উৎসব হয়নি। তাই এবার বই হাতে পেয়ে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে তার।
শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে বই দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সচিব আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ক্লাস সেভেনের বই নিতে আমাকে ঊনত্রিশ টাকা আট আনা নিয়ে যেতে হয়েছিলো। ওই যুগে এ টাকা ছিলে অনেক। অনেকেরই এতো টাকা দেওয়া সাধ্য ছিল না। আর এখন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে বিনামূল্যে বই।
তিনি আরও বলেন, ‘বই শক্তির প্রতীক। সভ্যতার প্রতীক। শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের শক্তি দিয়ে সভ্যতার বিকাশ ঘটাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সারাদেশে বছরের প্রথমদিনেই ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই তুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যতো সংখ্যক বই দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে পুরো পৃথিবীকে আড়াইবার মোড়ানো যাবে। এমন রেকর্ড এখন বাংলাদেশের ঘরে।
**বিশ্বে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে বাংলাদেশের তুলনা নেই
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এসএ/এনএইচটি/এএ