সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে- আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গত ২২ ডিসেম্বর সময়সূচি ঘোষণা করা হয়।
‘নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও নির্বাচনে দায়িত্ব পাবেন। ভোটকেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ’
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে উক্ত ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা সাহায্য করতে বাধ্য থাকবে। ’
‘ওই বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব পেলে, তিনি তার নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। ইতোপূর্বে এ ধরনের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। ’
আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত সব সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুসরণপূর্বক তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। আপিল করার শেষ সময় ৫ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
>> তাপস ও ইউনুসের আসনে ২৭ মার্চের মধ্যে ভোট
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
ইইউডি/এফএম