রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে খালিশপুরের বিআইডিসি সড়ক, আটরা ও রাজঘাট এলাকার খুলনা-যশোর মহাসড়কে শ্রমিকরা অনশন পালন করছেন।
কনকনে শীতে সড়কে থাকায় বেশিরভাগ বয়স্ক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দিন যত যাচ্ছে, পাটকল শ্রমিকদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সংখ্যা তত বাড়ছে।
খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে গিয়ে দেখা যায়, পিপলস গোলচত্বর থেকে প্লাটিনাম জুট মিলের গেটের কিছুটা সামনে পর্যন্ত সড়ক বন্ধ। সড়কের ওপর তাবু টানিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করে তাতে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকরা। এই সড়কে রয়েছেন খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, খালিশপুর ও দৌলতপুর এই পাঁচটি পাটকলের শ্রমিকরা। দুর্বল হয়ে পড়া শ্রমিকদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। প্যান্ডেলে বক্তব্য রাখছেন শ্রমিক নেতারা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন মঙ্গলবার দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, অনশনে আমার মিলের তাঁত ও ফিনিশিংয়ে আবু ও শাহ আলম সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে স্ট্রোক করেছেন। তারা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। প্লাটিনাম জুট মিলে প্রায় ১৫ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে পাটকল শ্রমিকরা সড়কে অনশন করছেন। যতই দিন যাচ্ছে অসুস্থের সংখ্যা বাড়ছে। ঠাণ্ডাজনিত কারণে প্রায় সবাই অসুস্থ। ক্রিসেন্ট জুট মিলে ৩০ জন অসুস্থ আছেন।
প্লাটিনাম ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের মতো প্রায় প্রতিটি মিলেই অনশনরত শ্রমিকদের অসুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে।
শ্রমিকদের দাবি নিয়ে গত ১৫, ২২ ও ২৬ ডিসেম্বর তিন দফা বৈঠক হলেও তাতে কোনো সুফল আসেনি। সবশেষ ২৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের বিষয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবারও অনশন করার ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এমআরএম/একে