ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রায় অমান্য করে জলমহালে মাছ ধরার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
রায় অমান্য করে জলমহালে মাছ ধরার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার একটি বিলে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে।  

এ ব্যাপারে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জহর লাল দাস প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

 

এতে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলাধীন বিল বোয়ালিয়া ছোট বোয়ালিয়া জলমহাল নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে লিভ টু আপিল ১৮০/২০২০ ডিভিশনে মামলা চলমান থাকা সত্বেও এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেখানে ছায়াবীথি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকজন মাছ ধরছে। সদর উপজেলার বিল বোয়ালিয়া ছোট বোয়ালিয়া জলমহালটি ভূমি মন্ত্রণালয় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪২৫-১৪৩০ বাংলা সনে ৬ বছর মেয়াদে বোয়ালিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সর্বোচ্চ দর দাতা সত্বেও ওই সমিতিকে ইজারা না দিয়ে ছায়াবিথী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে ইজারা দেওয়া হয়।  

পরবর্তীকালে বোয়ালিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ভাদুঘরের নামে ইজারা পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে ৯৩৩২/২০১৮ নম্বর রিট পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করা হয়। উভয় পক্ষে শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই উচ্চ আদালতের  ২ জন বিচারপতির যৌথ বেঞ্চ বিল বোয়ালিয়া ছোট বোয়ালিয়া জলমহাল বাংলা ১৪২৫-১৪২৬ পর্যন্ত ২ বছর ছায়াবিথী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ভোগ দখলে থাকায় উচ্চ আদালত তাদের নামে লিজ বহাল রাখেন এবং ১৪২৭ পহেলা বৈশাখ থেকে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত চার বছর একই রাজস্ব বাৎসরিক ইজারা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আয়কর প্রদানে বোয়ালিয়া সমিতির অনুকূলে ইজারা দেওয়ার জন্য উচ্চ আদালত আদেশ দেন।

সর্বশেষ ১০ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জল মহালটি ১৪২৭ বাংলা সনে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে উপস্থিত সকলকে অবগত করে জলমহালে কেউ অনুপ্রবেশ করে মৎস্য আহরণ করতে পারবেনা বলে ঘোষণা করলেও ছায়াবীথি মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল হক এলাকার রফিকুল ইসলাম নেহার, বাছির মিয়া, জসিম উদ্দিন, মহসিন মিয়া, গাবদ্দিন মিয়া, ছুটন মিয়া, শুক্কুর আলী, সামসু মিয়া, ইকবাল মিয়া, হারিস মিয়া প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সভাপতির প্রত্যক্ষ ইন্ধনে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাছ ধরে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিসাধন করে।  

এ বিষয়ে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জহর লাল দাস বাংলানিউজকে  বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা জলমহালে মাছ ধরতে যাবো না।

ছায়াবীথি মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিষয়ে আনা অভিযোগটি ঠিক নয়।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু আদালতের নিষেধাজ্ঞা রযেছে তাই আমরা উভয়পক্ষকে ডেকে নিষেধ করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।