ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংস্কৃতি দিয়ে মৌলবাদের আস্ফালন রুখতে হবে: প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
সংস্কৃতি দিয়ে মৌলবাদের আস্ফালন রুখতে হবে: প্রতিমন্ত্রী

রাজশাহী: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মৌলবাদের আস্ফালন সংস্কৃতি দিয়ে রুখতে হবে। বাঙালির সাংস্কৃতিক ধারা অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি লোকসংস্কৃতির ভাণ্ডার। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আমাদের লোক সাংস্কৃতিক চেতনার ধারা ক্রমাগতভাবে অব্যাহত রাখতে হবে। এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ যে কোনো ধরনের মৌলবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে ১৬তম বাংলা লোকনাট্য উৎসবের প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মৌলবাদ প্রতিহত করতে সাংস্কৃতিক কর্মীরা সবসময় আন্দোলন করে গেছে। তারা সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। যদিও বিগত সময়ে কিছু কাল বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলন পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছে তবুও তারা লোকসংস্কৃতি বিকাশের পথ গ্রাম থিয়েটারের মাধ্যমে সচল রেখেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। সে কারণে গ্রামগঞ্জে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রাম থিয়েটারের কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

করোনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক হলো দ্বিতীয় ভ্যাকসিন। এ ব্যাপারে থিয়েটারের কর্মীদের কাজ করতে হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামগঞ্জে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

১৬তম বাংলা লোকনাট্য উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী সাইদ হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুজ্জামান, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু এবং পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন থিয়েটারের সদস্য ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী, শিব মন্দির, আন্দিক মন্দির, গোবিন্দ মন্দির, দোল মন্দিরসহ রাজবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ঘুরে দেখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।