ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সহকারীর বিরুদ্ধে চিকিৎসকের মামলা, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি স্বজনদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২০
সহকারীর বিরুদ্ধে চিকিৎসকের মামলা, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি স্বজনদের

রাজশাহী: টাকা চুরির অভিযোগে ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাজশাহী মহানগরীর মাদারল্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকা। এ মামলায় ব্যক্তিগত সহকারী ফজিলাতুন নেসা মেরিকে (৪৫) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

তবে মেরির স্বজনদের দাবি, মেরি চুরির সঙ্গে জড়িত নয়। প্রায় সাত মাস আগে মেরি ব্যক্তিগত সহকারীর চাকরি ছেড়েছেন। ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা ব্যক্তিগত ক্রোধের বশবর্তী হয়ে মেরির বিরুদ্ধে চুরির মামলা দিয়েছেন।

মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মেরির ভাই মাসুদ আলী পুলক রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকা গত ২৮ নভেম্বর নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এতে তিনি দাবি করেন, ২৭ অক্টোবর মেরি তার চেম্বারের ড্রয়ার থেকে এক লাখ টাকা চুরি করেছেন।

মেরির ভাই মাসুদ আলী পুলক লিখিত আবেদনে দাবি করেন, তার বড় বোন মেরি গত আনুমানিক ১২ বছর ধরে মাদারল্যান্ড হাসপাতালের ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার পিএ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের গত ১৭ মে চিকিৎসকের বোনদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি এবং মনোমালিন্যের জন্য চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর ডা. ফাতেমা একাধিকবার কাজে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। তার বোন চাকরি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ আগস্ট ফাতেমা সিদ্দিকা তার বোনের নামে নগরীর রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী। তিনি উভয়পক্ষকে ১৯ তারিখে থানায় উপস্থিত হতে বললে তার বোন থানায় হাজির হন। কিন্তু ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা যাননি। কিন্তু পরে তিনি  ২৮ নভেম্বর আবার রাজপাড়া থানায় মামলা করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৭ অক্টোবর টাকা চুরি হয়। অথচ মামলা দায়ের করেছেন এক মাস পর ২৮ নভেম্বর রাতে। পুলিশ প্রভাবিত হয়ে তদন্ত ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই তার বোনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান এবং বর্তমানে তিনি মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করছেন। এখন তার বোনের পুরো পরিবার দুর্বিষহ ও অসহায় জীবনযাপন করছেন। তিনি মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি ও তার বোনকে ন্যায্য বিচার নিশ্চিতের অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, আগে অনুসন্ধান করা হয়েছিল, এখন তদন্ত চলছে। এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মকবুল বিষয়টি তদন্ত করেছেন। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।