ঢাকা: পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফট বিশিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে।
এতে বছরে ২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা বন্দরের নিজস্ব জেটিতে স্থানান্তর এবং ৩ হাজার টিইইউ’স এর (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) কন্টেইনারবাহি জাহাজ ও ৪০ হাজার টনের পণ্যবাহী বাল্ক কার্গো ক্যারিয়ার জাহাজ সরাসরি বন্দরে আসতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের মূল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ৭৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১০০-১২৫ মিটার। রাবনাবাদ চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল এর মধ্যে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি চুক্তি সই হয়েছে।
রাবনাবাদ চ্যানেলের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কাজের ক্রয় প্রস্তাব বুধবার (০২ ডিসেম্বর) অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪০৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
‘রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেল) জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেল) জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কাজ করবে বেলজিয়ামের জান ডি নুল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দরের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের আগস্টে এর অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পায়রা বন্দরে ১০০টি জাহাজ এসেছে বলে সভায় জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি