বরিশাল: মারধর ও পিস্তল ঠেকিয়ে বরিশালে এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের আহম্মেদ জুয়েলের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রাহুল চৌধুরী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার তেরচর এলাকার সুনীল চৌধুরীর ছেলে রাহুল চৌধুরী। তিনি খেজুরতলা থেকে তার মোটরসাইকেল গ্যারেজের ব্যবসা মুলাদী শহরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের আহম্মেদ জুয়েলের দোকানে স্থানানন্তর করেন। এই সুযোগে জুয়েল রাহুলকে মাদক বিক্রিতে বাধ্য করায় রাহুলের পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পরিবারের পরামর্শে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাঠের ব্যবসায় মনোযোগী হয় রাহুল।
‘এতে জোবায়ের আহম্মেদ জুয়েল ক্ষিপ্ত হলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়া মাদক ব্যবসা না করায় ২৬ অক্টোবর রাতে জোবায়ের আহম্মেদ জুয়েল ও তার সহযোগি অভি বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জুয়েলের অফিস কক্ষে রাহুল চৌধুরীকে বেধড়ক মারধর করে। একইসঙ্গে পিস্তল ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাহুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। ’
ভুুক্তভোগী রাহুল চৌধুরী মুঠো ফোনে জানান, এই বিষয়টি আমার পরিবার, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও পৌর মেয়রকে অবহিত করলে তাদের পরামর্শে মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে জোবায়ের আহম্মেদ জুয়েল আমাদের বাসার সামনে গিয়ে আমার মা, বড় ভাই ও স্থানীয় জুলহাস মীর, বিপ্লব বেপারীসহ অন্যান্য মানুষের সামনে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার তাদের অব্যাহত হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এই বিষয়ে জানতে মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের আহম্মেদ জুয়েল জানান, যে অভিযোগ করেছে, সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে এ ধরনের অভিযোগ সে দিতে পারে। তবে এর কোন সত্যতা নেই। সে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ দিচ্ছে।
মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এখনও অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। তবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
এমএস/এইচএমএস