ঢাকা: কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ পূর্ণগতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বছরটি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ববাসীর জন্য দুর্যোগময় বছর হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর কাজ পূর্ণগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমাদের স্বপ্নের ও গর্বের পদ্মাসেতুর সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ। ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ এই মহামারিতে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি।
‘কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নয়নের কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ’
করোনা মহামারি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বছরটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্ববাসীর জন্য এক দুর্যোগময় বছর। করোনা ভাইরাসের মহামারি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতির উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব অর্থনীতি এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। করোনা ভাইরাসের মহামারির ফলে অনেক উন্নত এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়েছে।
‘বাংলাদেশে আমরা সময়োচিত পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করে এই নেতিবাচক অভিঘাত কিছুটা হলেও সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। ’
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাকিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি যা জিডিপির ৪.৩ শতাংশ। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ২.৫ কোটি প্রান্তিক মানুষকে নগদসহ নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলিয়ে আমাদের প্রবাসী আয়, কৃষি উৎপাদন ও রপ্তানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত অর্থবছরে ৫.২৪ শতাংশ হারে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ বলছে ২০২০ সালে বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
***দেশকে পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে গড়ার প্রত্যয়
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এমইউএম/এএ