ঢাকা: পদ্মা সেতু নিয়ে নেতিবাচক প্রচারের জন্য বিএনপিকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু যদি না হয় সে জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। সে জন্য সরকারকে বিএনপির ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন।
‘পদ্মা সেতু কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু অবশ্যই একটি রাষ্ট্রীয় সস্পদ। এই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তিনি বলেছিলেন- আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ যদি জোড়াতালি দিয়ে সেতু বানায়ও, সে সেতু দিয়ে কেউ যাবে না। সে জন্যই আমি প্রশ্ন রেখেছিলাম, বিএনপি কি এখন সেতুর ওপর দিয়ে যাবে নাকি নিচ দিয়ে যাবে?
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবের কথায় বোঝা যায়, তারা সেতুর ওপর দিয়েই যাবেন। তবে তার আগে সরকারকে তাদের একটা ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাদের সব ষড়যন্ত্র ও নেতিবাচক প্রচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে ফখরুল সাহেবদের মতো নেতাদের কেনাবেচা হয়েছে। জিয়ার আমলে যারা দলছুট রাজনীতিবিদ, তাদের হাট বসত, সেই হাটে অনেকে বিক্রি হয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবও রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া একজন রাজনীতিবিদ।
ড. হাছান বলেন, সেই সময় একটি ধনীক শ্রেণি তৈরি করা হয়েছিল, ব্যাংক লুটেরা শ্রেণি তৈরি করা হয়েছিল। তখন বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদেরকে, বিএনপি নেতাদেরকে ব্যাংক লোন দেওয়া হয়েছে, যে লোন শোধ করা হয়নি। লোন দেওয়াই হতো এই লোন শোধ করতে হবে না জেনে। অর্থাৎ লুটপাট শুরু হয়েছিল জিয়ার আমলে। আর সেই লুটপাট ষোলকলায় পূর্ণ হয়েছে খালেদা জিয়ার আমলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
নিউজ ডেস্ক