ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ী যানটি এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে একটি মামলা তদন্তের জন্য মোটরসাইকেল চালিয়ে উত্তরার দিকে যাচ্ছিলেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম।
তবে পুলিশ বলছে, একই এলাকায় দুর্ঘটনা হলেও দু’জনই একই মোটরসাইকেলে ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ জানান, দুর্ঘটনার ব্যাপারে সব তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। আশা করা হচ্ছে শিগশিগরই তা জানা যাবে। বুধবার রাত ১১টার দিকে তিনি বিমানবন্দর এলাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কার্যালয়ের পাশে দুর্ঘটনার শিকার হন। কোনো একটি যানের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন এবং তার মাথার ওপর দিয়ে যানটির চাকা চলে যায়। এতে তার মাথা থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়।
এদিকে একই সময়ে একই স্থানে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ফাতিহা সুমিকে বুধবার মধ্যরাতের পর ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিমানবন্দর থানার এসআই তাইজ উদ্দিন জানান, সুমি তার স্বামী কাজী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে উত্তরা এলাকায় থাকতেন। কোনো গাড়ির ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে তা জানার চেষ্টা চলছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, একই দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু ক না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এসআই কামরুল দুর্ঘটনার মামলার তদন্তের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। ঘটনার দিন বিকেলে গুলশান থানায় কামরুল কাজ করেছেন।
ওই নারী তার সঙ্গে ছিলেন বা পথে তাদের দেখা হয়েছে কিনা জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর সুমিকে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে না হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, কামরুলের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায়। বাদ জোহর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে জানাজার পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মরদেহ দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২১
এজেডএস/এএটি