গাইবান্ধা: খোলা মাঠে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু। অথচ দুই পাশে নেই কোনো সংযোগসড়ক।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ নম্বর খোর্দকোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুক পাকুরিয়া গ্রামের দৃশ্য এটি। জনকল্যাণে দুই যুগ আগে সেতুটি নির্মিত হলেও আজও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগসড়ক।
পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর সংযোগসড়কের পাশ দিয়ে বুজরুক পাকুরিয়ার বিরামহীনপুর থেকে বুজরুক পাকুরিয়ার ঈদগাহ মাঠ সড়কে স্থানীয়দের চলাচলের সবিধার্থে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংযোগসড়ক না থাকায় কাজে না লেগে উল্টো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সেতুটি।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, সংযোগসড়ক না থাকায় দুই গ্রামের বাসিন্দাসহ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ পথ ঘুরে চলাচল করছে। শুকনো মৌসুমে কিছু মানুষ কষ্ট করে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে সেতুটির চারপাশে পানি জমে থাকায় চলাচলে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় পথচারীদের।
ভূক্তভোগীরা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে এসডিএফ প্রকল্পের আওতায় বুজরুক পাকুরিয়ার খালের ওপর আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এসডিএফসহ সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণের পর থেকে সংযোগ সড়ক নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সংযোগসড়ক না করায় এ সেতু দুই গ্রামবাসীর কোনো কাজে আসছে না। বরং শুকনো মৌসুমে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা চলতি শুকনো মৌসুমেই মাটির সংযোগসড়ক স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের (এলজিইডি) সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এসও) আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, ওটা এসডিএফ প্রকল্পের কাজ। অনেক আগে এসডিএফ প্রকল্পের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যে কারণে এলজিইডি থেকে সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়নি।
গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২১
এসআই