ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে বৈষম্য বাড়ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে বৈষম্য বাড়ছে’

ঢাকা: সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে বৈষম্য বেড়ে চলছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সেন্টার ফর গর্ভান্সেস স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে সুশাসনের অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপ্ন নিয়ে যে সমাজতন্ত্র রয়েছে, সে সমাজতন্ত্র হলো মানুষে মানুষের মধ্যে বিভেদ কমানো। বাংলাদেশে মানুষের মানুষের মধ্যে বিভেদ বেড়ে চলেছে। যে সব হিসাব আমাদের কাছে আছে, এই সব হিসাবের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে যে, পৃথিবীতে যতগুলো দেশ আছে তার প্রায় ৬৫ ভাগ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আয় বৈষম্য রয়েছে। পৃথিবীর বাকি ৩৩ শতাংশ দেশে আয়ের যে ধরনের বৈষম্য আছে বাংলাদেশেও সেটা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই বৈষম্য বেড়েছে গত ২৫ থেকে ৩০ বছরে। এর একটি কারণ হলো দেশে প্রচুর দুর্নীতি হচ্ছে, দুর্নীতির ফলে কালো টাকা এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের এখানে বৈষম্য বাড়ছে। এই বৈষম্যের দিকে যদি আমরা দৃষ্টি না দেই তাহলে আমাদের মধ্যে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরনের গন্ডগোল। সেজন্য আমরা যদি দেশের শান্তি চাই, দেশের অগ্রগতি চাই, তাহলে এই সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ৮ বছর আগে ভারত ছবি বানিয়েছিল গুন্ডে, সেখানে বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। ভারত সহায়তা না করলে যুদ্ধ দীর্ঘদিন হতো, তবে কৃতজ্ঞ থাকার সীমারেখা দরকার। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে কৃতজ্ঞতার কথা বলা হয়, সেটা যেন রশি বেশি টানাটানির মতো না হয়ে যায়, কারণ রশি বেশি টানলে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম বলেন, সেই সময় বড় অর্জন ছিল বাঙালি জাতিকে বিশ্বের সামনে দাঁড় করানো, সেটা আমরা পেরেছি। তবে গণতন্ত্রের একটি মাত্রা আছে সেখানে আমাদের পৌঁছাতে হবে।

অনুষ্ঠানে কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম বলেন, ৫০ বছরে আমাদের অনেক অর্জন আছে, তবে প্রাপ্তি হচ্ছে শূন্যের কোঠায়। আমরা চেতনার কথা বলি, চেতনা জানতে গেলে ইতিহাস জানতে হবে। চেতনা না থাকলে দেশপ্রেম থাকবে না, একদিন চেতনা বিলুপ্ত হলে সব কিছুই শেষ হয় যাবে। তাই উন্নয়ন দিয়ে চেতনা ধরে রাখা যাবে না, চেতনা দিয়ে উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিজিএসর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এসএমএকে/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।