বাগেরহাট: চারিদিকে পানি থৈ থৈ করলেও সুপেয় পানির সঙ্কটে দিশেহারা উপকূলবাসী। জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় মিষ্টি পানির আধারের যেমন সঙ্কট রয়েছে, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততার তীব্রতা বেড়েছে।

এ অবস্থায় সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে টেকসই, জনবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভার শ্রমিক কলোনীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নাগরিক সমাজ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে ভূগর্ভস্থ পানির অদৃশ্য সমস্যা ও সম্ভাবনাকে দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে বক্তব্য দেন, মোংলা নাগরিক সমাজ'র সভাপতি মো. নূর আলম শেখ, বাদাবন সংঘের অজিফা খাতুন, সার্ভিস বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, সাংবাদিক রেজা মাসুদ, বাদাবন সংঘেরর শাহরুখ গালিব রাব্বি, মো. আহসান, নারীনেত্রী পারভীন বেগম, রীনা, তারা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে খালি কলস হাতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে লবণাক্ততা বেড়েছে। একদিকে মিষ্টি পানির সঙ্কট, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততার তীব্রতা বেড়েছে। অতিমাত্রায় লবণাক্ততা এখন উপকূলের প্রধান দুর্যোগ, যা মোকাবিলায় মোংলা উপকূলের প্রান্তিক মানুষেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে টেকসই, জনবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা অত্যান্ত জরুরি।

এছাড়া সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন কাজে রাসায়নিক সার এবং পদার্থের ব্যবহার, পশুর নদীসহ দেশের সব নদ-নদীতে জাহাজী ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষেপ, নদীতে তেল-কয়লা ভর্তি জাহাজ ডুবির ফলে পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এর ফলে পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সর্বত্র পানযোগ্য, মাছের বসবাসযোগ্য এবং সাঁতারের উপযোগী পানির বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ২২ মার্চ, ২০২২
এমএমজেড