পাবনা: মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস সংরক্ষণে পাবনা জেলায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ও করণীয় নির্ধারণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান, পাবনা ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন বেবি ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আফরোজা আক্তার, প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।
আলোচকেরা বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের অন্যতম প্রচীন জনপদ বৃহত্তর পাবনা জেলার মুক্তিকামী মানুষেরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। তৎকালীন সময়ে জেলার দায়িত্বশীল জেলা প্রশাসন সংরক্ষিত অস্ত্রভাণ্ডার খুলে দিয়েছে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। সুসজ্জিত পাকসেনাদের বিরুদ্ধে সামান্য কিছু অস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। আর পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের প্রাচীনতম এই জেলা মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রথম পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার সংগ্রামে বিশেষ অবদানকারী এই জেলা সেই স্বীকৃতি এখনো পায়নি। এই জেলাতে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো সরকারি উদ্যোগ। তাই জেলা শহর পাবনাতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বঙ্গবন্ধুর কর্নার স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান আলোচকরা।
একই সাথে জেলাতে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থাপনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ও ভবনকে সংরক্ষণের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
আলোচনার শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত সবাই।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৌকত আফরোজ আসাদ। আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মতিন খান, সাংবাদিক উৎপল মির্জা, গবেষক ড. আব্দুল আলীম, সাংবাদিক রাজিউর রহমান রুমি, তরুণ সাংবাদিক রিজভী জয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক পাভেল মৃধা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এমজেএফ