ফরিদপুর: ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে কোপানোর মামলায় আসামি ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ এপ্রিল) জেলার এক নম্বর আমলি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুর রহমান দেবাশীষকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
দেবাশীষ নয়ন (৩২) ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লায় বসবাস করেন। তার বাড়ি সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের পূর্বতন কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
দেবাশীষের বিরুদ্ধে সালথা ও ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ফরিদপুর শহরের হরিসভা এলাকার বাসিন্দা ফাহিম আহমেদের স্ত্রী হীরা বেগম ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দায়িত্বরত নার্স ইলা শিকদারের সঙ্গে ফাহিম আহমেদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে নার্স ইলা শিকদার দেবাশীষ নয়নকে খবর দিয়ে ডেকে আনেন। দেবাশীষ নয়ন এসে ফাহিম আহমেদের বুকে ছুরি মারেন। পরে ইলা ও দেবাশীষ পালিয়ে যান।
ফাহিম আহমেদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ফাহিম আহমেদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নার্স ইলা শিকদার ও দেবাশীষ নয়নকে আসামি করে মামলা করেন।
পরে নার্স ইলা শিকদার ও দেবাশীষ নয়ন উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের আগাম জামিন নেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ২১ দিনের আগাম জামিন শেষ হওয়ার পর আজ সোমবার ইলা ও দেবাশীষ ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। আদালত দেবাশীষের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে আদালত নার্স ইলার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
আরএ