পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কিশোরী (স্কুলছাত্রী) বধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
নিহত স্কুলছাত্রী সুমি আক্তার (১৫) উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ব্যাপসাবুনিয়া গ্রামের মিলন মোল্লার মেয়ে ও স্থানীয় বালিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে একই গ্রামের মাস্টার মো. ফারুক হাওলাদার ছেলে হৃদয় হাওলাদারের স্ত্রী। স্বামী ফারুক হাওলাদার উপজেলা সদরের ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত সুমির মামা মো. মনির হোসেন ফরাজী জানান, সুমির বাবার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক না থাকায় সুমির মা জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরব থাকেন। আর সুমি তার মামা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো। এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে সুমির সঙ্গে হৃদয়ের বিয়ে হয়। চার/পাঁচদিন আগে সুমিকে তার মায়ের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল এনে দিতে বলে হৃদয়। এ প্রস্তাব সুমি প্রত্যাখ্যান করে। এ জেরে গত মঙ্গলবার বিকেলে সুমিকে মারধর করে হৃদয়। একপর্যায়ে মারা যায় সুমি। পরে এই হত্যার ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ঘরে থাকা চালের পোকা নিধনের ওষুধ সুমির মুখে ঢেলে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই কিশোরী বধূকে তার স্বামী যৌতুকের জন্য মারধর করতো। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
আরএ