চাঁদপুর: ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুরে আসছে অধিকাংশ লঞ্চ। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে লঞ্চ মালিক পক্ষ তাদের পকেট ভারী করার জন্য কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না।
রোববার (১ মে) রাত ১০টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোর এ চিত্র দেখা গেছে।
রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি আল বোরাক ৮০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকলেও যাত্রী বহন করে এনেছে প্রায় চার হাজার। এই লঞ্চ থেকে যাত্রী বের হতে সময় লেগেছে প্রায় ৩০ মিনিট।
লঞ্চের যাত্রী রবিন ও মিরাজ রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেছেন, ভাড়া দিয়েও ঢাকা থেকে দাঁড়িয়ে চাঁদপুরে এসেছি। লঞ্চে ইচ্ছে মতো যাত্রী উঠানো হয়েছে। সদরঘাটে লঞ্চগুলো মনিটরিং করার জন্য কোনো লোক নেই। বাড়িতে ঈদ করবো, সেজন্য কষ্ট শিকার করে আসতে হয়েছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে থাকা একাধিক মালিক প্রতিনিধি জানান, সদরঘাটে যাত্রী উঠানোর বিষয়ে তারা কোনো কিছু বলতে পারবেন না। কারণ ওই ঘাটে মালিকের অন্য লোকজন কাজ করেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও নৌপুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় দীর্ঘ দিনের বিশৃঙ্খল লঞ্চঘাটের যাত্রী সেবা ব্যবস্থা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে এসেছে। এখন আর যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি হয় না।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো আসছে এবং আসতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তবে যেসব লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে তাদের বিষয়ে আমি হেড অফিসকে জানাব।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২২
এনইউ/এসআরএস