মাদারীপুর: ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটছেন মানুষ। রাজধানী ঢাকায় যেতে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকেই রয়েছে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ।
সূত্র জানায়, যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাজধানীর কর্মজীবী মানুষেরা ক্রমেই মোটরবাইকের দিকে ঝুঁকছেন। করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকেই ফেরিঘাটে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হওয়া যাত্রীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চলতি বছর পদ্মা পার হওয়া মোটরবাইকের সংখ্যা বড়ে যাওয়ায় একটি ফেরিঘাটকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে। যে ঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল পার হবে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় প্রায় হাজারখানেক মোটরসাইকেল রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন তারা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, রাতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ৫টি ফেরি চলছে। ঘাটে ব্যক্তিগত যানবাহনের প্রচুর ভিড় রয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহীদের সংখ্যাও প্রচুর। পর্যায়ক্রমে ফেরিতে পার হচ্ছে মোটরসাইকেল।
মো. ইমরুল নামে এক আরোহী বলেন, 'ঢাকায় চলাফেরার সুবিধার জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। পদ্মাসেতু চালু হলে বাড়ি যাওয়া-আসা করতে কোনো সমস্যা থাকবে না। মূলত এ কারণেই মোটরসাইকেল কিনেছি। নিজের ইচ্ছামত চলতে পারি। '
আরেক আরোহী মো. সোহেল বলেন, 'ছুটি শেষ হওয়ায় একযোগ ঢাকা ফিরছে যাত্রীরা। এজন্য ঘাটে চাপ বেশি। অসংখ্য মোটরসাইকেল ঘাটে রয়েছে পদ্মা পারের অপেক্ষায়। '
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন,' এ বছর মোটরসাইকেলের চাপ বেশি। হাজার হাজার যাত্রী মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন। মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা ঘাট করে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘাট দিয়ে ফেরিতে শুধু মোটরসাইকেল পার করা হচ্ছে। '
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, মে ০৬,২০২২
এমএমজেড