ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

যমুনায় বিলীন পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
যমুনায় বিলীন পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি

টাঙ্গাইল: যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। গত এক সপ্তাহে এই গ্রামের পাঁচ শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

যার তিন শতাধিক ভেঙেছে গত দুই দিনে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভাটিতে কাকুয়া ইউনিয়নের চরপৌলী গ্রামটির অবস্থান। প্রতিবছর যমুনার পানি বৃদ্ধির সময় এবং কমার সময় এই এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এবার এক সপ্তাহ আগে ভাঙন শুরু হয়। গত তিনদিন ধরে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

শনিবার (২১ মে) চরপৌলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদী তীরের মানুষ ঘর-বাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। গাছগুলোও কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। নদী তীরে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার কর্মযজ্ঞ। এই এলাকার আব্দুর রশীদ শেখ, আলমাছ মিয়া ও কাশেম মণ্ডলের বাড়ি শুরুবার বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আভাস পেয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তারা ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

মমিনুর রহমান মিয়া জানান, গত তিন বছরে তিনি ভাঙনের কারণে তিনবার বাড়ি স্থানান্তর করেছেন। এবারও সেই একই কারণে ঘরবাড়ি স্থানান্তর করতে হচ্ছে।

শুধু বাড়িঘর নয়, চরপৌরী মিন্টু মেমোরিয়াল হাইস্কুল, চরপৌলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। যেকোনো সময় নদী গর্ভে এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হতে পারে।

কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলানিউজকে জানান, ভাঙনের বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মাত্র কয়েকদিনেই পাঁচ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে এখানে বাঁধ নির্মাণ জরুরি। তা নাহলে আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই চরপৌলী গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে জরুরি কাজ করে এ ভাঙন ঠেকানো যাবে না। শুকনা মৌসুমে এখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে। সে কাজের দরপত্র খুব শিগগিরই আহ্বান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।