ঢাকা: যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। প্রায় তিন দশক আগে এই সেতু স্থাপিত হলেও সেখানে ট্রেনের গতি কম।
রোববার (২২ মে) রেল ভবনে সেতুটির নির্মাণ কাজের জন্য তিনটি প্যাকেজের মধ্যে প্যাকেজ-৩ এর আওতায় পশ্চিম ও পূর্ব স্টেশনের জন্য সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার চুক্তি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং জাপানের ইয়াশিমা-জিএসইর মধ্যে এ চুক্তি হয়। রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ও ইয়াশিমা-জিএসই’র নোরিও ইকঝিমা চুক্তিতে সই করেন।
![কথা বলছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ছবি: ডিএইচ বাদল](http://banglanews24.com/public/userfiles/images/AAT-07-2-2022-1/09-04-2022-AAT/11-04-2022-aat/13-04-2022-aat/14-04-2022-AAT/16-04-2022-AAT/18--4-2022-AAT/20-4-2022-AAT/21-04-2022-AAT/23-4-2022-AAT/23-04-2022-AAT-2/24-4-2022-AAT-3/25-04-2022-AAT/25-04-2022-aat2/30-04-2022-AAT/02-05-2022-aat/3-05-2022-aat/04-5-2022-aat/10-05-2022-aat/14-05-2022-aat/16-5-2022-aat/17-05-2022-AAT/19-05-2022-aat/21-05-2022-AAT/rail-ministry-program-photo.jpg)
তিনি জানান, ২০১১ সালের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রেল মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। পিছিয়ে পড়া রেল ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও ভারসম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রেলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পূর্বাঞ্চলে ব্রডগেজ ও পশ্চিমাঞ্চলে মিটার গেজ ট্রেন চলাচল করে। যমুনা ও পদ্মা নদী আমাদের দেশকে দুই ভাগ করে রেখেছে। বঙ্গবন্ধু মাল্টিপারপাস ব্রিজ হওয়ার আগ পর্যন্ত সড়ক পথ ও রেলপথে আমরা বিচ্ছিন্ন ছিলাম। ৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু মাল্টিপারপাস ব্রিজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আমাদের সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, শেষ মুহূর্তে রেলের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসেন, তার বিশেষ উদ্যোগে সেই সময় যমুনা নদীর ওপরে রেল ব্রিজ সংযুক্ত করা হয়। এটা অনেক দেরিতে ছিল বলে এখানে রেলের স্বাভাবিক যে গতি সেটা পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে পারছি না। ২০ কিলোমিটার গতিতে আমাদের যেতে হয়। একইসঙ্গে ওজনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে।
![](http://banglanews24.com/public/userfiles/images/AAT-07-2-2022-1/09-04-2022-AAT/11-04-2022-aat/13-04-2022-aat/14-04-2022-AAT/16-04-2022-AAT/18--4-2022-AAT/20-4-2022-AAT/21-04-2022-AAT/23-4-2022-AAT/23-04-2022-AAT-2/24-4-2022-AAT-3/25-04-2022-AAT/25-04-2022-aat2/30-04-2022-AAT/02-05-2022-aat/3-05-2022-aat/04-5-2022-aat/10-05-2022-aat/14-05-2022-aat/16-5-2022-aat/17-05-2022-AAT/19-05-2022-aat/21-05-2022-AAT/22-5-2022-aat/signing-photo--3154.jpg)
রেলমন্ত্রী বলেন, এই সেতু হলে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ উন্নত হবে। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ রয়েছে। এই সেতু হয়ে গেলে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সব বাধা দূর হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে আশা করে মন্ত্রী জানান, এতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে।
রেলমন্ত্রী এ সময় জানান, ১ জুন থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার মৈত্রী ট্রেন চালু হবে।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবিরসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন>>২০২৩ সালের জুনেই ঢাকা থেকে ট্রেন যাবে কক্সবাজার
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
এমআইএইচ/এএটি