নীলফামারী: বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নীলফামারীর প্রবীণ সাংবাদিক সামছুল ইসলাম। তিনি দৈনিক ভোরের কাগজের নীলফামারী প্রতিনিধি ও নীলফামারী প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা।
সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি সামছুল ইসলাম এ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় জেলার সাংবাদিকরা আনন্দে ভাসছেন। তারা বলেন, সঠিক লোককে কর্তৃপক্ষ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।
সাংবাদিক সামছুল ইসলামের জন্ম ১৯৪২ সালে। তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৭৭ সালের দিকে। সে সময় দৈনিক সংবাদে কাজ করতেন। এরপর দৈনিক রুপালী ও বর্তমানে ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি নীলফামারী জেলা শহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক নীলফামারী বার্তার সম্পাদক প্রয়াত ফজলুর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একসঙ্গে চলাফেরা ও রিপোর্টিং করেছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে তার। অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র সামছুল ইসলাম জেলার প্রায় সব সাংবাদিকের কাছে অভিভাবক তুল্য।
তার মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে নীলফামারী প্রেসক্লাব সভাপতি তাহমিন হক ববী বলেন, বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ সঠিক লোককে নির্বাচন করে অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। তিনি এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
জেলার সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাকির হোসেন বাদল বলেন, সাংবাদিকতার পথিকৃত সামছুল ইসলাম ভাই। নীলফামারী জেলায় তাকে কারো সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তিনি ব্যবহার ও গুণে সবাইকে আকৃষ্ট করে থাকেন। তার মাঝে কোনো রাগ দেখি না। মাঠ পর্যায়ে যেভাবে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে তাকে অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন করেছে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ অনেকের কাছে অনুকরণীয় হবে।
সামসুল ইসলাম টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, শেষ বয়সে এসে আমার কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি। ভালো লাগছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
এসআই