লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. সাদ্দাম (২৫) ও রিয়াজ হোসেন (২৮) নামে স্থানীয় দুই বখাটের নামে সদর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমি ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর মনসা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ীর স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণির মেয়েকে গত ১১ জুন (শনিবার) সন্ধ্যায় ধর্ষণ করে প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন চেরাং এর ছেলে সাদ্দাম ও নুর ইসলাম ড্রাইভারের ছেলে রিয়াজ। বিষয়টি প্রথমে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়ায় ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেনি ভিকটিমের পরিবার। এছাড়া ধর্ষণকারীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবারকে।
তবে ধর্ষণের ঘটনা হওয়ায় স্থানীয়রা থানা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ১৩ জুন স্কুলছাত্রীর বাবা সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়।
বাদী বলেন, আমরা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুর নুরনবীর বাড়িতে বসবাস করি। আমার মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। সে পাশের বাড়ির এক মেয়ের কাছে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে ১১ জুন মাগরিবের নামাজের পর ঘর থেকে বের হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর সে ঘরে এসে কাঁদতে থাকে। এসময় তাকে ভীত সন্ত্রস্ত এবং তার পরনের জামা ছেঁড়া দেখা যায়। পরে সে আমাদের জানায়, ঘর থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর সাদ্দাম ও রিয়াজ তাকে মুখ চেপে ধরে একটি বাগানে নিয়ে যায়৷ সেখানে দুইজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমাম্য লোকজনকে জানাই। প্রথমে তারা বিচারের আশ্বাস দিলেও পরে আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি মামলা করেছি। পুলিশ যেন দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজতবা আহম্মদ তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মেয়ের বাবা বিষয়টি আমাকে ফোনে জানালে আমি থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেই।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেনের বাবা দেলোয়ার হেসেন চেরাং বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
আরএ