শরীয়তপুর: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৬ জুন) দুপুর থেকেই সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজা সংলগ্ন সড়কে ছিল ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিন গিয়ে ও ঢাকামুখী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কেউ কেউ পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলেন। আর বেশিরভাগই এসেছিলেন রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার জন্য। তাদের বাড়ি বেশিরভাগই শরীয়তপুরের জাজিরা, মাদারীপুরে শিবচরের। তাদের ধারনা ছিল, সেতুর জাজিরা টোলপ্লাজার সামনে গেলে সেখান থেকে ঢাকামুখী বিভিন্ন পরিবহনের বাস পাওয়া যাবে। তবে অনেকেই বাসে উঠতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই টোলপ্লাজা কিংবা জাজিরা প্রান্তের গোল চত্বর এলাকায় বাস টার্মিনাল করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জাজিরার বিকেনগর থেকে আসা আজিজ ও রোকসানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমাদের টাকায় আমাদের স্বপ্নের সেতু করে দেওয়ায়। কিন্তু আমরা পদ্মা সেতুর কাছাকাছি এলাকায় থাকলেও ঢাকা যাওয়ার জন্য বাস পাচ্ছি না। যে বাস আসছে, তা ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। তাই অবিলম্বে টালপ্লাজা কিংবা জাজিরা প্রান্তের গোল চত্বর এলাকায় বাস টার্মিনাল করার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে টোল দেন। এরপর তার গাড়িবহর সেতু উদ্বোধনের জন্য ফলকের স্থানে যায়। প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিরা গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে প্রথমে মোনাজাত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এরপর দুপুর ১২টার একটু আগে সুইচ টিপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভোর ৬টা থেকে থ্রি-হুইলার ছাড়া সব যানবাহনের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এসআরএস