ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় বিত্তবানদের নাম থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৬ জুন) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুপারিশের তালিকায় বাদ পড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে ২০১৯ সালে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটি উপজেলা থেকে ২০৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে। অফিস সেই তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু এতোদিনে এসে দেখা যায়, তালিকায় একজনের নাম একাধিক বার রয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৯ লাখ টাকার একটি বরাদ্ধ এসেছে যেটি সর্বোচ্চ ৩৬ জনকে দেওয়া যাবে।
ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা থেকে বাদ পড়া দেলোয়ার, জালাল, মালেক, শহীদ, জলিল, মিনারাসহ প্রায় ৪০ জন সুবিধাভোগী জানান, সরকারি বরাদ্ধের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেন ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্যের স্বামী মো. বাবুল গাজী। পরে বরাদ্ধের টাকা আরও বেশি জানতে পেরে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে যারা বেশি টাকা দিয়েছেন, তাদের নাম তালিকায় সুপারিশ করা হয়েছে। আর তাদের মধ্যে কয়েকজন বৃত্তবানের নামও রয়েছে।
বাবুল গাজীর নাপিতেরহাটে ১০টি দোকান আছে। অথচ তিনি নিজেই তার নাম ওই তালিকায় দিয়েছেন। ফারুক নামে এক ব্যক্তির দোতলা ভবন ও দুই ছেলে বিদেশ থাকলেও তালিকায় তার নাম আছে। এছাড়া পাকা ভবনের মালিক, ব্যবসায়ী দুলাল মুন্সী গ্রতিগ্রস্ত না হয়ে রয়েছেন বরাদ্ধের তালিকায়।
কোনো যাচাই-বাছাই না করেই তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. জালাল আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তালিকায় বিত্তবানদের নাম থাকলে তা বাতিল করে পুনরায় তালিকা তৈরি করা হবে।
এদিকে বাবুল গাজী তার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদ বলেন, তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা হয়েছে। আমরা এর কিছুই জানি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান খান বলেন, অনিয়ম থাকলে বিষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এফআর