ঢাকা: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল রেস্টুরেন্টে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে মাস্ক পরতে অনীহা দেখা গেছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।
বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর তিব্বত, নাবিস্কো, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব, সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ মাস্ক ছাড়াই দেদারসে ঘুরছে। দোকানপাট, বাজার, পরিবহণ বা গণপরিবহন, শপিংমলেও মাস্ক পরার বালাই নেই। কারো-কারো সঙ্গে মাস্ক থাকলেও না পরে সেটি পকেটে, হাতে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন।
কথা হল, খালেদ নামের একজনের সঙ্গে। মাস্ক কেনো পরেননি- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভাই আমি ভুলে গেছি। কালকে থেকে পরব।
রওজা নামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আদেশের খবর তো জানতাম না। জানলাম, এখন থেকে পরব।
প্রেসক্লাবের সামনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেলোয়ারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মাস্ক আমি সব সময় পরি। তবে আজকে ফেলে আসছি। এখন কিনে পরতেছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১০১ জনের, এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ক্রমশ সংক্রমণ ও শনাক্তের হার বাড়ছে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে ৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় বলা হয়, সাম্প্রতিককালে সারাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে মর্মে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪ জুনের সভায় গৃহিত সুপারিশ প্রতিপালনের জন্য এবং কোভিড প্রতিরোধকল্পে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হলো।
তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতা কম হলেও, দ্রুত এতে আক্রান্তের হার বাড়ছে। ওমিক্রনের এই শাখা ভ্যারিয়ন্ট থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা ও জনাসমাগম এড়িয়ে চলারও পরামর্শ তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩8 ঘণ্টা, ২৯ জুন, ২০২২
এমকে/এসএ