ঢাকা: মহাসড়কে যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে ঈদযাত্রায় বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারছে না। সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে বাস।
ঈদের ছুটির আগে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) শেষ কর্ম দিবস হওয়ায় এদিন সড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়ে যায়। পাশাপাশি কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের কারণে সড়কে যানজট তৈরি হয়।
এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই কল্যাণপুর, গাবতলী, মাজার রোডে দূর পাল্লার বিভিন্ন বাস কাউন্টারের সামনে শত শত মানুষকে জটলা বেঁধে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে না যাওয়ায় জটলা তৈরি হয়।
শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, আগমনী পরিবহন, এসআরসহ বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে রাত সাড়ে ১০টার দিকেও এমন জটলা দেখা যায়।
রংপুর যাওয়ার জন্য শ্যামলী পরিবহনের রাত ১১টার টিকিট কেটেছিলেন ফিরোজ এবং মিশু। রাত সাড়ে ১০টায় তারা কাউন্টারে এসে বাসের সিডিউল কখন তা জানতে পারেননি। পরে দু’ঘণ্টা দেরিতে রাত ১টায় তারা বাসে উঠতে পারেন। তবে বাসে উঠেও আরেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে তাদের। কারণ, বাস যানজটের কারণে এগোতে পারছিল না। থেমে থেমে কচ্ছপের গতিতে চলছিল তাদের বাস। রাত দেড়টা নাগাদ তারা গাবতলী পার হতে পারেন।
শ্যামলী পরিবহন কাউন্টারের টিকেট মাস্টার আনিসুর রহমান জানান, যানজটের কারণে বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারছে না। একটি বাস এলে সেটি ছাড়া হচ্ছে। এ কারণে দেরি হচ্ছে।
অন্যান্য পরিবহনের যাত্রীদেরও একই অবস্থা। ভিন্ন কাউন্টারে শিশুরা গরমে অস্থির হয়ে চেঁচামেচি করছে। তাদের শান্ত করতে মায়েদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে দেখা গেছে।
শ্যামলী পরিবহনের একজন সুপারভাইজর জানান, ঢাকা পৌঁছে আবারও সঙ্গে সঙ্গে বাস ছেড়ে দিয়েছেন। ফেরার পথে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কে যানজট দেখেছেন তারা।
অন্যদিকে করোনা মহামারির মধ্যেও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে চরম অনীহা দেখা গেছে। যাত্রীদের ঠাসাঠাসি অবস্থার কারণে করোনার ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এমআইএইচ/জেডএ