বরিশাল: গার্মেন্টেসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ দায়ের করা মামলায় ১৩ বছর পর দুই আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি উভয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) বরিশাল মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বাঁগধা এলাকার মো. ফারুক হোসেন (৪৭) ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি স্থানীয় হারতা জামবাড়ির পারুয়া (২৭) পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি উজিরপুর উপজেলার হারতা এলাকার তৎকালীন ১৫ বছরের এক কিশোরী ও তার মামাতো বোন ২০ বছরের এক কিশোরীকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দণ্ডপ্রাপ্ত ফারুক হোসেনের হাতে তুলে দেন অপর দণ্ডপ্রাপ্ত পারুয়া। পরিবারের অজান্তে তাদের লঞ্চে করে ঢাকায় নিয়ে মিরপুর ১৪ নম্বরের একটি ফ্ল্যাট বাসায় আটকে রাখেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে উভয়কে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়।
এদিকে মেয়েদের সন্ধান না পেয়ে অভিভাবকরা খোঁজখুঁজি শুরু করে এবং স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে দণ্ডপ্রাপ্তরা ওই দুই কিশোরীকে পুনরায় লঞ্চযোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে ২০০৯ সালের ৩ মার্চ এক কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। উজিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা ওই মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তবে একই বছরের ২৫ মে দুইজনের বিরুদ্ধে ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আদালত আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর ফারুককে বিশেষ ব্যবস্থায় কারাগারে পাঠায় পুলিশ। অপরদিকে পলাতক পারুয়ার বিরুদ্ধে সাজা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
এমএস/আরআইএস