টাঙ্গাইল: মালয়েশিয়া থেকে প্রেমের টানে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলের সখীপুরে মনিরুল ইসলামের (২৬) কাছে ছুটে এসেছিলেন জুলিজা বিনতে কামিস।
এরপর মনিরুলের পরিবারের সম্মতিতে দু’জন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।
মনিরুল ইসলাম সখীপুরের কাদেরনগর মুজিব কলেজ মোড় এলাকার ইমান আলীর ছেলে।
সম্প্রতি মনিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মনিরুলের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। ছয় মাস পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মালয়েশিয়ান ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখীপুরে চলে আসেন। এরপর কোর্ট ম্যারেজ করে ইসলামিকভাবেও বিয়ে পড়ানো হয় তাদের। এরপর হঠাৎ করে মনিরুলের পরিবার জানতে পারেন, মালয়েশিয়ায় জুলিজার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছেন। এরপর মনিরুল ওই তরুণীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। মনিরুলের সঙ্গে ১৫ দিন ঘর-সংসার করে ওই তরুণী তার নিজ দেশ মালয়েশিয়ায় ফিরে যান।
মনিরুল ইসলাম জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে জুলিজার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর জুলিজা তার কাছে চলে আসেন। পরে বিয়ে হয় তাদের। তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। তাই তিনি ১৫ দিন পর দেশে ফিরে যান। দেশে ফিরে গেলেও তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখন স্ত্রী হিসেবে নয়, ভালো বন্ধু হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শুনেছেন, জুলিজার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছেন।
মনিরুল ইসলামের বাবা ঈমান আলী বলেন, মেয়েটি আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। এখন ছেলেকে বিয়েও করাতে পারছি না। ছেলে ওই সময় লেখাপড়া করত। কিন্তু এখন লেখাপড়া বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে। মালয়েশিয়ান মেয়েটি আমার ছেলের ভব্যিষৎ নষ্ট করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
এসআই