ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিতে না পারায় বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামের আজ্ঞাবহ সভাপতি মো. কামরুল হাসান সহকারী প্রধান শিক্ষককে বিধি বহির্ভূতভাবে কারিগরি শাখা থেকে সম্মানী দেওয়া চেষ্টা করেন।
এছাড়াও ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্নভাবে প্রধান শিক্ষককে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করেত থাকেন। বিদ্যালয়টির স্বার্থে এসব অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কারিগরি শাখায় দায়িত্বরত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত বেতনভাতা স্বাক্ষর না করে আটকে দেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত করেছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট বিষয়গুলো উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ মোল্যা।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি ভিত্তিহীন মনগড়া। প্রথম সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষককে কারিগরি শাখা থেকে সম্মানী দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের প্ররোচণায় রেজুলেশনের পাতা ছিঁড়েছে কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে আমি থানায় একটি জিডি করেছি।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বোয়ালমারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য বিদ্যালয়ের সভাপতি মহোদয় একজন শিক্ষকের গৃহপালিত, আজ্ঞাবহ হাতের পুতুল। তিনি ওই শিক্ষক ও নিজের স্বার্থ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ও শিক্ষার উন্নয়নে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেননি। বরং প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে অচিরেই সচেতন অভিভাবকদের ডেকে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।
এ ঘটনার তদন্তকারি কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. ছরোয়ার হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
আরএ