পিরোজপুর: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩)। পিরোজপুরের নাজিরপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।
তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার জানান, ‘গত রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে ওই ছাত্রী তার বিয়ে ঠেকাতে আমার কাছে এসে কেঁদে ফেলে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) জানাই। ’
ইউএনও শেখ আব্দুল্লাহ আল সাদীদ জানান, ‘ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের জন্য তার বাবা ছেলে পক্ষের সঙ্গে দিন- ধার্য করেন। বিয়ের তারিখ ছিল সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে। তাই বিয়ের মেহমানদের খাওয়ানোর জন্য ওই ছাত্রীর বাবা গত রোববার (১৪ আগস্ট) বাজার করেন। বাল্যবিয়ের বিষয়টি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পেয়ে ওই দিন (রোববার) রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুনের মাধ্যমে ছাত্রীর বাবাকে ডেকে আনি। পরে তিনি তার মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন। তারপরও তিনি যাতে গোপনে মেয়েকে বিয়ে না দেন সে জন্য লোক দিয়ে পাহারা দেওয়া হয়েছিল।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। স্কুলছাত্রীর বাবকে থানায় ডেকে মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রী জানায়, সে লেখাপড়া করে স্বাবলম্বী হতে চায়। কিন্তু পরিবার তার আগেই তাকে বিয়ে দিতে চায়। সে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে প্রধান শিক্ষকের সহায়তা চেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
এমএমজেড