ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি ক্লিনিকে গত ১৪ দিন ধরে তালা ঝুলছে। ক্লিনিকটি বন্ধ করে রাখার কারণে শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে স্কুলের বারান্দায়।
ওই ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো) মো. নুরুল ইসলাম ১৪ দিন যাচ্ছেন না ক্লিনিকে। গত ১৪ দিন ওই এলাকার মানুষ সরকারি ক্লিনিকের সেবা থেকে বঞ্চিত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা যায়, উপজেলার কাদিরদী বাজারে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। যার নাম "কাদিরদী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র"। ক্লিনিকের পাশে রয়েছে কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ক্লিনিকের জমির সঙ্গে স্কুলের জমির সীমানা নিয়ে চলছে বিরোধ। বিরোধের একপর্যায়ে গত ৪ আগস্ট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক জমিটি পরিমাপ করেন। এতে স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে কিছু জায়গা পায়। এই জমির বিরোধের জেরে ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ক্লিনিকে না গিয়ে তালা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন।
এদিকে ১৭ আগস্ট ক্লিনিকটি বন্ধ থাকার কারণে সাতৈর সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভলেনটিআর মুরাদ মাহমুদ বাচ্চাদের ইপিআই টিকা স্কুলের বারান্দায় বসে দিয়েছেন।
ক্লিনিকে দায়িত্ব থাকা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ক্লিনিক বন্ধ করে রেখেছি ভয়ে। জমি মাপার পর ক্লিনিকের ভেতর জমি পেয়েছে স্কুল। ক্লিনিকে গেলে শিক্ষকরা যদি কিছু বলে সে ভয়ে ক্লিনিকে যাই না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্যার ও সিভিল সার্জন স্যার যখন আমাকে ক্লিনিকে যেতে বলবেন তখন যাব।
এ ব্যাপারে কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রহমান বলেন, স্কুলের জায়গা এতোদিন ধরে ক্লিনিকের ভেতর দখল করে রেখেছিল। উপজেলা সহকারী কমিশনার জমিতে এসে মাপ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আজ অনেকদিন কি কারণে ক্লিনিক বন্ধ করে রেখেছেন জানি না। তবে, কাউকে আমরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছি না।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ক্লিনিকটা নিয়ে একটু বিরোধ রয়েছে। তাই, ভয়ে ওই ক্লিনিকের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার যাচ্ছেন না বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বসে দ্রুত সমাধান করে ক্লিনিকটি পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
আরএ