ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজৈরে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
রাজৈরে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ নৌকাবাইচ

মাদারীপুর: মাদারীপুরের রাজৈরে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সনাতন ধর্মালম্বীদের শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের কমলাপুর বিলে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অর্ধশতাধিক বাইচের নৌকা অংশ নেয়।  

এদিকে বাইচ দেখতে ডিঙ্গি নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানে নারী, পুরুষ, শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ বিলের মধ্যে ও চারপাশে অবস্থান নেয়। বাইচ ঘিরে উৎসবমুখোর হয়ে ওঠে এলাকা।  

জানা গেছে, শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষ্যে শনিবার বিকেলে প্রতি বছরের মতো এবারও ওই বিলে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচের আয়োজন করে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।  

পৃষ্ঠপোষকতা করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হালিম ফকির ও ইউপি সদস্যরা। দুপুরের পর থেকেই নৌকাবাইচ দেখতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসতে শুরু করেন কমলাপুর বিলে। বিলের পাড়ে বসে অস্থায়ী মেলা। বিকেল ৪টার দিকে নৌকাবাইচ শুরু হয়। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় মাদারীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অর্ধশত বিভিন্ন আকারের নৌকা অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতায় বিশ্বজিৎ বাগচির নৌকা প্রথম স্থান অধিকার করে। সন্ধ্যায় মন্দির মাঠে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  

দর্শনার্থীরা বলেন, 'এই বাইচ আমাদের এলাকার ঐহিত্য। প্রতি বছর এখানে বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা এ বাইচ দেখতে এসেছি। হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়ে প্রত্যন্ত এ জনপদ। ' 

বাইচে অংশ নেওয়া অনাদী বাড়ৈ বলেন, 'আমি ১২ বছর ধরে বাইচের নৌকায় আছি। এর আগে আমার বাবা, কাকা বাইচে অংশ নিতেন। তার আগে আমার দাদা বাইচের নৌকা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অংশ নিতেন। এখানের আয়োজন খুব ভাল লেগেছে। '

আয়োজক কমিটির সদস্য বাজিতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি পঙ্কজ মণ্ডল বলেন, এই নৌকাবাইচ আমাদের এলাকার ঐতিহ্য। প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পূজার দিন এই বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হালিম ফকিরের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা এই বাইচের আয়োজন করেছি।

আয়োজক কমিটির সদস্য বাজিতপুর ইউপি সদস্য সমীর বাড়ৈ বলেন, সবার সহযোগিতায় খুব সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ঐহিত্যবাহী নৌকাবাইচ সমাপ্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাইচের নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। নারী, পুরুষ, শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ এসেছে বাইচ দেখতে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে বিভিন্ন সাইজের টেলিভিশন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।