ঢাকা: জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন না দিয়েই ক্ষমতায় থাকতে, আর বিএনপি চায় যে করেই হোক ক্ষমতায় বসতে। এরা কেউ জনগণের জন্য রাজনীতি করে না, তাই আমরা কারো ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হতে চাই না।
রোববার (২৯ জানুযারি) বিকেলে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘চলমান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের উপায়; জনপ্রত্যাশা, বাস্তবতা এবং সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এই আয়োজন করে।
ববি হাজ্জাজ বলেন, আমার জীবনে যতগুলো সরকার ব্যবস্থা দেখেছি, তার মধ্যে আওয়ামী লীগের মতো দুষ্টু সরকার আর একটিও দেখিনি। আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় স্বৈরাচার এই দেশে আর একটিও নেই।
তিনি বলেন, সব সমমনা দলকে নিয়ে সামনে আমাদের কঠোর আন্দোলনে নামতে হবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ কখনো নিরেপক্ষ নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন দেবে না।
গত ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ডিসিদের ডেকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এর মানে কি? সরকার প্রতিটি সরকারি কর্মচারীকে দলীয় কর্মীতে রূপান্তর করেছে।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন না হয়, কেউ না অসলেও আমি ববি হাজ্জাজ একাই সেই নির্বাচনকে প্রতিহত করব।
পাঠ্যপুস্তকে যে ভুল হয়েছে সেগুলো সংশোধন না হলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দেব।
দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কথা জানিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশর অর্থনৈতিক যে অবস্থা, ডলার সংকট, ব্যাংকে টাকা নেই, বাংলাদেশ যে আজকের পাকিস্তান বা গতকালের শ্রীলঙ্কা হবে না সেই গ্যারান্টি নেই।
এ সময় মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, আমরা আর এই আওয়ামী লীগকে দেখতে চাই না। একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারে অধীনে ক্ষমতা হস্থান্তর করে নির্বাচন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। অন্যথায় এই দেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহাসিক দল এটা আমরা জানি। কিন্তু ঐতিহাসিক দলের ভূমিকায় আওয়মী লীগ আর নেই। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার ইচ্ছে আমাদের নেই, কারণ দেশের ইতিহাসের সঙ্গে তারা (আওয়ামী লীগ) ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই তাদেরকে দ্রব্যমূল্য, পাঠ্যবইসহ সব ধরনের অসঙ্গতি দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনডিএমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল আমিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জাতীয় লীগের ডা. ইফতেখার ফুয়াদ, ডেমোক্রেটিক পার্টির ডা. এ আর খান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এসআর/এমএমজেড