ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে আয়োজিত এক শান্তি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আজকে বাংলাদেশে দুটি ধারার রাজনীতি প্রবাহিত হচ্ছে। একটি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষকে সব দুঃখ-কষ্টে সরকারের সহায়তা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সেই জামায়ত এবং পঁচাত্তরের খুনি সে বিএনপি ও তাদের দোসররা সারাদেশে নতুন করে ভিন্ন একটি ধারার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য, দেশকে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জানে, অতীতে তারা যেসব অপকর্ম করেছে, রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে লুটপাট-দুর্নীতি করেছে, হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেছে, ক্ষমতার বাইরে থাকতেও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িযে হত্যা করেছে, জনগণের ভোটে নির্বাচনে আর তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজ তারা জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে চিহ্নত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা হচ্ছে। দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসার দল শেখ হাসিনার দল। এ কারণে এখন আবার নতুন করে বিএনপি-জামায়াত সম্মিলিত হয়েছে। তারা ভেবেছে ২০১৩-১৫ সালে যেভাবে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, আবারও সে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যহত করবে।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনাকালীন মহাদুর্যোগ পাড়ি দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মধ্যেও আমরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ আবার অর্থনৈতিক মন্দার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। পুরো বিশ্ববাসী বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে দেশের অর্থনীতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবো। এ ধারা নষ্ট করার জন্যই বিএনপি-জামায়াত তৎপর আছে।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আন্দোলন, আন্দোলন করে কোনো লাভ নেই। আপনাদের এ আন্দোলনের খেলা বন্ধ করুন। আপনাদের আন্দোলেন খেলা ১০ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে। এখন আর আন্দোলনের খেলা খেলে লাভ হবে না। বরং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
বিএনপি এখন সংকটের মধ্যে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ দলের শীর্ষ দুই নেতা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে একজন কারাগারে আটক এবং আরেকজন বিদেশে পলাতক। এ অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারবে না। তাই তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বানচাল করার যেকোনে অপতৎপরতাকে প্রতিহত করে নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালণায় এই শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
এসসি/জেএইচ